READ MORE
দেশে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) বন্ধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এরই অংশ হিসেবে টার্মিনেশন রেট কমানো এবং রাজস্ব ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই প্রস্তাবটি পাস হলে দেশে অবৈধ ভিওআইপি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রতিদিন দেশে বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আসছে গড়ে ৩ কোটি মিনিট। নতুন আইজিডব্লিউ আসার আগে যা ছিল সাড়ে ৫ কোটি মিনিট।
বৈধ পথে আসা প্রতিটি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের জন্য ৩ দশমিক ৪৫ সেন্ট করে আয় করছে গেটওয়েগুলো। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ পাচ্ছে সরকার।
এর বাইরে আরো প্রায় ২ কোটি মিনিট কল অবৈধ পথে দেশে আসছে। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অবৈধভাবে কল টার্মিনেশন বন্ধ ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কমাতে এর আগে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর পরও বন্ধ হয়নি অবৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আসা।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোট অবৈধ কলের প্রায় ৪০ শতাংশই আসছে ভিওআইপির মাধ্যমে। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
নানান সময় নানান উদ্যোগ নিয়ে এই অবৈধ ভিওআইপি বন্ধ করতে পারেনি সরকার। আর তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট কমানোর প্রস্তাব দিলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
পাশাপাশি গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে নিজেদের অংশও কমিয়ে আনতে চায় কমিশন। বৈধ পথে কল মিনিট বাড়াতেই এ প্রস্তাব দিয়েছে বিটিআরসি।
এটি কার্যকর হলে কলপ্রতি ২ সেন্ট হিসাবে অবৈধ পথে কল টার্মিনেশন করা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরুত্সাহিত হবে। ফলে অবৈধ কলের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে।
দেশে মোট ২৯টি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করছে। গত বছরের এপ্রিলে নতুন ২৫টি আইজিডব্লিউর লাইসেন্স দেয়া হয়।
এর আগে ২০০৮ সালে চারটি প্রতিষ্ঠানকে এ লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর আইজিডব্লিউর মাধ্যমে আসা কল গ্রাহকপর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে অপারেটররা।
নতুন করে অনেকগুলো আইজিডব্লিউ লাইসেন্স দেয়ার পর এ খাতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই সরকার নির্ধারিত ৩.৪৫ সেন্টের কমে আন্তর্জাতিক কল আনা শুরু করেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ২ সেন্টেরও কমে অবৈধভাবে কল আনতে চুক্তি করে।
এ ধরনের ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতার কারণে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যবসায়িকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ে।
অবৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ হ্রাস করতে কলপ্রতি ৩.৪৫ সেন্টের স্থলে ১.০৫ সেন্ট নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
পাশাপাশি লাইসেন্স দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমিয়ে আনতে রাজস্ব ভাগাভাগিতে বিটিআরসির অংশ ৫১-এর স্থলে ৪০ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসব বিষয় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে কমিশন।
এদিকে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, প্রস্তাবিত রাজস্ব ভাগাভাগির কাঠামোয় আইজিডব্লিউগুলোর অংশ আরো বাড়ানো উচিত। এটি ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন, যা বর্তমানে ১৩.২৫ শতাংশ।
এটি বর্তমানের দ্বিগুণ করা এবং আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট হঠাৎ করে না কমিয়ে পর্যায়ক্রমে কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছে আইজিডাব্লিউ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
READ MORE
দেশে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) বন্ধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এরই অংশ হিসেবে টার্মিনেশন রেট কমানো এবং রাজস্ব ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই প্রস্তাবটি পাস হলে দেশে অবৈধ ভিওআইপি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রতিদিন দেশে বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আসছে গড়ে ৩ কোটি মিনিট। নতুন আইজিডব্লিউ আসার আগে যা ছিল সাড়ে ৫ কোটি মিনিট।
বৈধ পথে আসা প্রতিটি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের জন্য ৩ দশমিক ৪৫ সেন্ট করে আয় করছে গেটওয়েগুলো। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ পাচ্ছে সরকার।
এর বাইরে আরো প্রায় ২ কোটি মিনিট কল অবৈধ পথে দেশে আসছে। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অবৈধভাবে কল টার্মিনেশন বন্ধ ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কমাতে এর আগে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর পরও বন্ধ হয়নি অবৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আসা।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোট অবৈধ কলের প্রায় ৪০ শতাংশই আসছে ভিওআইপির মাধ্যমে। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
নানান সময় নানান উদ্যোগ নিয়ে এই অবৈধ ভিওআইপি বন্ধ করতে পারেনি সরকার। আর তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট কমানোর প্রস্তাব দিলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
পাশাপাশি গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে নিজেদের অংশও কমিয়ে আনতে চায় কমিশন। বৈধ পথে কল মিনিট বাড়াতেই এ প্রস্তাব দিয়েছে বিটিআরসি।
এটি কার্যকর হলে কলপ্রতি ২ সেন্ট হিসাবে অবৈধ পথে কল টার্মিনেশন করা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরুত্সাহিত হবে। ফলে অবৈধ কলের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে।
দেশে মোট ২৯টি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করছে। গত বছরের এপ্রিলে নতুন ২৫টি আইজিডব্লিউর লাইসেন্স দেয়া হয়।
এর আগে ২০০৮ সালে চারটি প্রতিষ্ঠানকে এ লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর আইজিডব্লিউর মাধ্যমে আসা কল গ্রাহকপর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে অপারেটররা।
নতুন করে অনেকগুলো আইজিডব্লিউ লাইসেন্স দেয়ার পর এ খাতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই সরকার নির্ধারিত ৩.৪৫ সেন্টের কমে আন্তর্জাতিক কল আনা শুরু করেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ২ সেন্টেরও কমে অবৈধভাবে কল আনতে চুক্তি করে।
এ ধরনের ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতার কারণে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যবসায়িকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ে।
অবৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ হ্রাস করতে কলপ্রতি ৩.৪৫ সেন্টের স্থলে ১.০৫ সেন্ট নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
পাশাপাশি লাইসেন্স দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমিয়ে আনতে রাজস্ব ভাগাভাগিতে বিটিআরসির অংশ ৫১-এর স্থলে ৪০ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসব বিষয় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে কমিশন।
এদিকে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, প্রস্তাবিত রাজস্ব ভাগাভাগির কাঠামোয় আইজিডব্লিউগুলোর অংশ আরো বাড়ানো উচিত। এটি ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন, যা বর্তমানে ১৩.২৫ শতাংশ।
এটি বর্তমানের দ্বিগুণ করা এবং আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট হঠাৎ করে না কমিয়ে পর্যায়ক্রমে কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছে আইজিডাব্লিউ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
READ MORE
অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে টার্মিনেশন রেট ও রাজস্ব ভাগাভাগির প্রস্তাব
Reviewed by Bd market
on
রবিবার, আগস্ট ০৪, ২০১৩
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: