Recent Posts

Seo Services

অভ্র এর এডভান্সড ইউজার হয়ে উঠুন (অফিস+ওয়েব+ফেসবুক+ফটোশপ+ANSI)

শনিবার, জুন ২৯, ২০১৩
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ভয়ানক অদ্ভুত অনুভব করি, যখন আজকের যুগেও মানুষকে অভ্র ফেলে বিজয় ব্যাবহার করতে দেখি। আমি হয়ত কারনটা জানি, সাইনেট কম্পিউটারে বসে ছিলাম , এক লোক এসে বিজয় কিনতে চাইল, আমি বললাম, "অভ্র বেশী সহজ না?" সে বলল, "সহজ, কিন্তু বিজয় দিয়ে তো অনেক বেশী ফন্ট ব্যাবহার করা যায়।" আমার মাথার উপর দিয়ে উরে গেল কথাটা... চিন্তা করলাম, "কয়কি বেডায়!?"
যাই হোক, আজকেও যদি বয়স্করা বিজয় ব্যাবহার করে, তাদের আমার বলার কিছুই নেই। তবে তরুণরা ব্যাবহার করলে বোকামি ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে? তরুণরা বিজয় ব্যাবহার করার কিংবা, অভ্রকে সহজ কথায় এড়িয়ে চলার যেসব কারণ দেখাতে পারে-
  • অভ্র বেশী জটিল।
  • অভ্র এর ফন্ট অনেক কম।
    অথবা, অভ্র এর ফন্ট পাল্টানো যায় না।
  • ফটোশপ-এ অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা যায় না।
  • ফেসবুকের লেখা ভাঙ্গা আসে।
    অথবা, ফেসবুকের লেখা ছোট আসে।
    অথবা, ফেসবুকের লেখার কারগুলো (া,ি,ী...) আগে পরে আসে।
Avro Banner
আমার নজরে অভ্রকে এড়িয়ে চলার আর কোনো কারণ থাকার কথা নয়। আমি উপরের কারণগুলোকে শুধরে দিচ্ছি। আপনি যদি অন্য কোনো সমস্যার মুখোমুখি হন, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানান, আমি তার সমাধান বের করবার পুরো চেষ্টা করব।

অভ্র বেশী জটিল

আপনার কাছে আসলেই কী ফোনেটিক টাইপিং কঠিন মনে হয়? আপনি "amar" লিখলে তা "আমার" হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে সহজ কী আছে? অনেকে বলবেন যে কিছু শব্দ আনতে কষ্ট হয়। আমি অস্বীকার করব না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এতই কম যে চোখেই পরে না, এখন আপনারটাও কমিয়ে দিচ্ছি।
অভ্র-তে কিছু অক্ষর এর মজা আছে। যখন, "r" লিখলে "র" আসে, তখন আবাদ "R" লিখলে "ড়" আসে। অর্থাৎ কাপিটাল লেটার এর জন্যে বাংলায়ও অক্ষর পরিবরতন হয়। যেমন, কঠিন লেখার জন্যে টাইপ করতে হবে "koThin", যেখানে "T" অর্থাৎ "ট", "t" অর্থাৎ "ত", "th" অর্থাৎ "থ" এবং "Th" অর্থাৎ "ঠ"।
আপনার বর্তমান লে-আউট দেখতে অভ্র টপ বার হতে গিয়ার (Gear) আইকনটি চাপুন এবং "Layout Viewer" সিলেক্ট করুণ।
Layout Viewer
অনেকে আবার কমেন্টে এ নিয়ে লিখবেন যে অভ্র দিয়ে টাইপিং করার সময় সাজেশনতো আসেই। তাহলে এগুলো সেখার কী দরকার। অস্বীকার করব না। তবে আপনি বুঝবেন, বার বার সাজেশন এর অপেক্ষা না করে, সরাসরি যা চাই তা আনতে পারলে টাইপিং দ্রুত করা যায়।
এর পরে অভ্রকে জটিল করার আর কী কী আছে? ও হ্যাঁ... ঁ-আনা সহজ নয়। চাঁদ লিখলে তা চলে এলেও, সব শব্দের ক্ষেত্রে হয় না। তো এমন ক্ষেত্রে আপনি কী করতে পারেন? অভ্র-তে রয়েছে "Avro Mouse - Click 'n Type!" যার মাধ্যমে আপনি যে কোনো অক্ষর, কার বা ফলা আপনার লেখায় আনতে পারবেন। এটি বের করার জন্যে আপনার অভ্র টপ বার -এর মাউস আকৃতির আইকনটিতে ক্লিক করুণ।
Avro Mouse - Click 'n Type!
এর পরে এতে রয়েছে "Jump to system tray" ফিচার। যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্ক্রীন এর জায়গা না কমিয়েই অভ্র ব্যাবহার করতে পারবেন। সিস্টেম ট্রে-তে থাকা অবস্থায় "F12" দিয়ে আপনি বাংলা বা ইংরেজি মোড এর মধ্যে পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি করার জন্যে অভ্র টপ বার-এর প্রথম আইকন, অর্থাৎ "অ"-তে ক্লিক করুন এবং "Jump to system tray" সিলেক্ট করুন।

অভ্র-এর ফন্ট অনেক কম
অথবা, অভ্র এর ফন্ট পাল্টানো যায়না

বাস্তবে এই মন্তব্যের সাথে আমি মোটেই একমত নই। কারণ, আপনি যদি শুধুমাত্র ফন্ট এর কারণে অভ্র ছেড়ে বিজয়ে যেতে চান, তাহলে জানিয়ে দেই, বিজয়ের প্রত্যেকটি ফন্ট অভ্র দিয়ে ব্যাবহার করা যায়। তাই ফন্ট এর জন্যে অভ্র ছেড়ে বিজয়ের কাছে যাবার মানে হয় না।
আমি এক কাজ করি, আপনাকে বিজয়ের ANSI ফন্ট গুলো ব্যাবহার করা দেখিয়ে দেই। UNICODE ফন্ট-তো আপনি নিজ থেকেই ব্যাবহার করতে পারবেন। অভ্র-তে ইউনিকোড থেকে আনসি-তে যাবার জন্য কীবোর্ড শর্টকাট হলো, "Shift+F12" আর এই কমান্ড পাবার পরেই আপনাকে অভ্র একটি ওয়ার্নিং দিবে।
ANSI Warning
এখানে আপনি "Use ANSI anyway" তে ক্লিক করে আনসি ব্যাবহার করা শুরু করতে পারেন। Sutonny MJ একটি জনপ্রিয় বিজয় ফন্ট, চিন্তা নেই, অভ্র দিয়ে ওটাও ব্যাবহার করতে পারবেন...
আর এখন আপনার দরকার একটা ফন্ট এর প্যাকেজ। আমি আপনাদের ৭৫০+ ফন্টস এর একটি প্যাকেজ এর সন্ধান দিচ্ছি। এর পরেও যদি বলেন অভ্র এর ফন্ট কম, তাহলে আমি বলব, "কেউ আমারে মাইরালা!"
প্যাকেজটি আমার আপলোড করা। তাই কোন প্রকার সমস্যা হলে জানাতে ভুলবেন না। আমি এটিকে TurtleShare-এ আপলোড করলাম। এখান থেকে ডাউনলোড করাও খুব সহজ তাই আশা করি কোনো অভিযোগ আসবে না। ডাউনলোড করুন নিচে দেয়া বাটনের এর মাধ্যমে-
Download Now
ফন্ট অনেক কম এর উত্তর তো দিয়ে দিলাম... এখন পাল্টানো নিয়ে কথা। MS OFFICE -এ তো ওই কাজ আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। শুধু ফন্ট থাকার দরকার। তাই এই নিয়ে কথা বাড়ানোর কী দরকার?

ফটোশপ-এ অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা যায় না

তাই নাকি? আমি তো খুব সহজেই লিখি। একদমই কমপ্লিকেটেড না। আর আমিতো অনেক ধরনের ফন্ট ব্যাবহার করে লিখি। কই, সমস্যা হয় নি তো...
ভাববেন এসব কি বলছি। সবার সমস্যা হয় আমার হয় না কেন? কাহিনী হলো আমি ফটোশপ এর সমস্যার কারনও জানি, আর তার সমধানও জানি; তাই আমার আর সমস্যা হয় না।
ফটোশপ এ যখন প্রথম বাংলা টাইপ করার চেষ্টা করি, দেখি বক্স বক্স আসছে, কিন্তু বাংলা কই? আসলে, ফটোশপে আমার মতে ইউনিকোড সাপোর্ট করে না। তাই বাংলা ইউনিকোড দিয়ে লেখা যায় না। তবে আনসি কিন্তু আলাদা জিনিস।
ফটশপ-এ বাংলায় লেখার জন্যে আপনার দরকার কিছু আনসি ফন্ট। সেরকম কিছু ফন্ট অভ্র এর সাথে দিয়ে দেয়া হয়। তেমনই একটি ফন্ট Siyam Rupali ANSI যা অভ্র ইন্সটল করলে সাথেই পাওয়া যায়।
এখন ফটশপ চালু করুন। আমার ব্যাবহারকৃত ফটশপ এর ভার্সন CS3 Extended যা একটি ফেয়ারলি এডভান্স ভার্সন। আপনি যে ভার্সনই ব্যাবহার করুননা কেন, ফলাফল একই হবে।
একটি নতুন ডকুমেন্ট চালু করুন। তারপর "Horizontal Type Tool" সিলেক্ট করুন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ফটোশপ পারেন; তাই এতই পরছেন। এ কারণে আমি বেশি বর্ণনা করব না এই নিয়ে।
টাইপ টুল সিলেক্ট থাকা অবস্তায়, "Window" মেনু থেকে "Character" সিলেক্ট করুন। ক্যার‍্যাক্টার ফন্ট চেঞ্জ করে "Siyam Rupali ANSI" সিলেক্ট করুন। এখন টাইপ টুল লিখলে বাংলা আসবে। তবে তা হবে হযবরল।
HOZOBOROL
এই হযবরল কে ঠিক করার জন্যে আপনাকে অভ্র আনসি চালু করতে হবে। কীবোর্ড থেকে "Shift+F12" কমান্ড চাপুন আর ওয়ার্নিং আসলে "Use ANSI anyway" চাপুন।
এবার আপনার ওই হযবরল-টা মুছে আরেকবার টাইপ করুন, দেখবেন, ভালোভাবে বাংলা লেখা আসছে।
Horrible Me
আর এই কাজ, যেকোনো আনসি ফন্ট দিয়ে করা সম্ভব। তাই কমেন্টে বলবেন না আর কী কী ফন্ট দিয়ে এই কাজ করা যাবে। একটা জ্ঞান ছারি, "If you got the font, typing with it is only a matter of time."

ফেসবুকের লেখা ভাঙ্গা আসে।
অথবা, ফেসবুকের লেখা ছোট আসে।
অথবা, ফেসবুকের লেখার কারগুলো (া,ি,ী...) আগে পরে আসে।

ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেট-এ বাংলা এখন আর কারও এ ধরনের সমস্যা হবার কথা না। তবে তবুও যদি কার হয়ে থাকে, তবে আমি তার সমাধান দিচ্ছি।
আমার সবগুলো সমাধান Mozilla Firefox এর জন্যে, তাই যদি কেউ IE বা Google Chrome তাহলে অন্য কারও কাছ থেকে আপনাকে সাহায্য নিতে হবে।
ফন্ট এর সাইজ ঠিক করার জন্য "Tools>Options" এ যান এবং "Content" ট্যাব এ যান।
Contents
সাইজ ১৬ করে দিন, আমার অলরেডি করা আছে। এভাবেই আপনার ফন্ট এর সাইজ ঠিক হয়ে যাবে।
আর ভাঙ্গা ফন্ট বা কার (ি,ী,া...) আগে পরে আসার সমস্যা সমাধান করা জন্যে উপরের ছবির মেনু থেকেই "Advanced" এ ক্লিক করুন।
এডভান্সড এর ডায়লগ বক্স-এর তথ্যগুলো নিচের মত করে পরিবরতন করুন-
Fonts settings
সবগুলো অপশন হুবুহু এমন করুন। এরপর একটি নতুন ট্যাব খুলুন এবং এড্রেস বার-এ লিখুন, about:config আর তারপর এন্টার চাপুন।
about:config
এখানে, "I'll be careful, I promise!" বাটনে ক্লিক করুন। অতপর যে পেজ আসবে, তার সার্চ ইঞ্জিন-এ লিখুন beng আর রেসাল্ট দেখুন।
edit1
এখানে নিচের ছবি অনুসারে ইডিট করুন। আপনাকে সবগুলো ফন্ট এর নাম লিখতে হবে না। শুধু প্রতিটির আগে Siyam Rupali যোগ করে দিন। যেমনটি এখানে করা হয়েছে-
edit2
এখন আপনার ওয়েব, ফেসবুক, টেকটিউন্স, কিংবা অন্য যেকোনো সাইট-এ বাংলা পরিস্কার ভাবে এবং পড়ার যোগ্য হয়ে আসবে। অনেকেই আবার ফন্ট এর সাইজ আরও বারাতে চান, বলেন যে Size 16 যথেষ্ট না। সে ক্ষেত্রে, শেষ ছবিটির নিচে দেখতে পাবেন-
font.size.variable.x-beng ►16
এটিকে ইডিট করে 20 বা 22 বা যা আপনার শখ লাগাতে পারেন।
হয়ত এখন আর কেউ অভ্র কে ছেড়ে বিজয়-এর কাছে যাবে না। কথা সত্য ভালো জিনিস-এর দাম আছে, তবে সেটা এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ৫২-তে আমরা ভাষার জন্যে রক্ত দিয়েছি, এখন যাতে ভাষাকে সবাই উন্মুক্ত ভাবে উপভোগ করতে পারি, সে জন্যেই তো অভ্র।
অভ্র এর এডভান্সড ইউজার হয়ে উঠুন (অফিস+ওয়েব+ফেসবুক+ফটোশপ+ANSI) অভ্র এর এডভান্সড ইউজার হয়ে উঠুন (অফিস+ওয়েব+ফেসবুক+ফটোশপ+ANSI) Reviewed by Bd market on শনিবার, জুন ২৯, ২০১৩ Rating: 5

আসুন মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিশ্বের যেকোন মানুষের অবস্থান জেনে নেই !!!!

শনিবার, জুন ২৯, ২০১৩
শুনেই মনে হয় মাথা খারাপ হয়ে গেল, তাই না ? একদিন আমার ইচ্ছা হলো ইন্টারনেটের মহাসমুদ্রে এমন কিছু পাওয়া যাই কিনা যেখানে মানুষের মোবাইল নাম্বার জানা থাকলে সেটা ব্যবহার করে মানুষটির অবস্থান জানা যায় কিনা । যেই চিন্তা সেই কাজ । শুরু করে দিলাম সার্চিং । এক পর্যায়ে পেয়ে গেলাম একটা সাইট যেখানে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এই সার্ভিস পাওয়া যায় । আমি প্রথমে নিজের নাম্বার দিয়ে সার্চ করলাম । এবং সার্চ করে যে রেজাল্ট পেলাম তা এক কথায় অসাধারণ ..
আপনি যদি এই সার্ভিস ফ্রি পেতে চান তাহলে এখুনি ভিজিট করুন মোবাইল ফোন ট্রাকিং এর সাইট । ভিজিট করার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
আসুন মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিশ্বের যেকোন মানুষের অবস্থান জেনে নেই !!!! আসুন মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিশ্বের যেকোন মানুষের অবস্থান জেনে নেই !!!! Reviewed by Bd market on শনিবার, জুন ২৯, ২০১৩ Rating: 5

ফটো এডিটিং-এর একটি অসাধারণ সফটওয়্যার (রয়েছে সব রকম Effect-এর সমাহার)

সোমবার, জুন ২৪, ২০১৩
আসসালামু আলাইকুম। সবাই আশা করি ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে ফটো এডিটিং-এর একটি অসাধারণ সফটওয়্যার শেয়ার করব। আমি আপনাদের সাথে যেই সফটওয়্যারটা শেয়ার করব তার নাম Funny Photo Maker. এটা একটা জটিল ফটো এডিটিং-এর সফটওয়্যার। এর কাজ খুবই সহজ তাই এই বিষয়ে বলতে হবে বলে মনে হয় না। বরং এর বিভিন্ন Effect এর কিছু ছবি দিলাম দেখে নিতে পারেনঃ







কি সুন্দর বৃষ্টি তৈরি করা গেল ফটোশপ ছাড়াই দেখলেন তো!

দেখলেন তো Joker সাহেব আমার ফটো হাতে নিয়া রাইখা কি বলতাসে! চাইলে আপনারটাও তার হাতে রাখতে পারেন কোন চিন্তা নাই! শুধু এই কয়টাই না, আরও হাজার রকম মজার মজার সব Effect আপনার জন্য অপেক্ষা করছে!
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে ।।।
ফটো এডিটিং-এর একটি অসাধারণ সফটওয়্যার (রয়েছে সব রকম Effect-এর সমাহার) ফটো এডিটিং-এর একটি অসাধারণ সফটওয়্যার (রয়েছে সব রকম Effect-এর সমাহার) Reviewed by Bd market on সোমবার, জুন ২৪, ২০১৩ Rating: 5

আসুন ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হই

শনিবার, জুন ২২, ২০১৩
ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(WWW)
ইন্টারনেটের  মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বিভিন্ন ডকুমেন্ট আক্সেস করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যোগাযোগ করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে।
ইন্টারনেটের ইতিহাসঃ
১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয় প্রতিরক্ষা বাহানি দ্বার।
১৯৮০ সালের মধ্য ভাগে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় শুধু সুপার কম্পিউটারের মধ্যে। তখনও বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয় নি।
১৯৯০ সালের দিকে ইন্টারনেটের বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়।
ইন্টারনেটের আজ এবং কালঃ
প্রতি মাসে প্রায় ১০০০০০ সংখ্যক নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হয়। আমেরিকার ৫০% এর বেশি পরিবার অনলাইনে থাকে। আমেরিকায় ইন্টারনেটের বেড়ে ওঠা(২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত)।
ইন্টারনেটের মূল সেবা সমূহঃ
ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ(WWW)
ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ এর পূর্ণ রূপ হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(WWW=World Wide Web)হল। ১৯৯৩ সালে টিম বারনারস লি(Tim-Berners Lee)ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করেন। বিভিন্ন ডকুমেন্ট পড়ার জন্য একটি ব্রাউজার প্রয়োজন।ডকুমেন্টগুলো একটি ওয়েব সার্ভারে
ই-মেইল(E-mail)
ই-মেইল এর পূর্ণ রূপ হল ইলেক্ট্রনিক মেইল(E-mail= Electronic mail)। ই-মেইলের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ ডকুমেন্ট পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পাঠানো যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে।ই-মেইলের মাধ্যমে চ্যাট করা যায়।
জিমেইল, ইয়াহু, হট মেইল ই-মেইল সেবা দিয়ে থাকে।
এফটিপি(FTP)
এফটিপি এর পূর্ণ রূপ হল ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল(FTP=File Transfer Protocol)।এর মাধমে ফাইল আদান প্রদান করা যায়।
চ্যাট(Chat)
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চ্যাট করা  যায়।
যেমনঃ ফেসবুক, স্কাইপি, গুগলটক ইত্যাদি।
ইন্টারনেট ব্যাবহারঃ
আইএসপি(ISP)
আইএসপি এর পূর্ণ রূপ হল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার(ISP=Internet Service Provider)। আইএসপি হল ইন্টারনেট সরবরাহকারী কোম্পানি।
ডায়েলআপ(Dialup)
ডায়েলআপের মানে হল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সাথে যুক্ত হওয়া। এটি একটু ধীর সংযোগ।
হাই স্পিড আক্সেসঃ
হাই স্পিড আক্সেস হল কোন বিশেষ লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সাথে যুক্ত হওয়া। এটি ডায়েলআপের তুলনায় অধিক(২-২৫ গুন) দ্রুত গতি সম্পন্ন সংযোগ।
ইন্টারনেটের টুকিটাকিঃ
ওয়েবসাইটঃ
ওয়েবসাইট হল ডকুমেন্টের সমষ্টি। ডকুমেন্টগুলো হল ওয়েবপেজ। পেজগুলোকে ওয়েবে প্রকাশ করা হয়।
এইচটিএমএলঃ
এইচটিএমএল এর পূর্ণ রূপ হল হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ(HTML= Hypertext Markup Language)। এইচটিএমএল এর মাধ্যমে ওয়েবপেজ তৈরি এবং ডিজাইন করা হয়। ট্যাগের মাঝখানে কনটেন্ট থাকে। <ট্যাগ>কনটেন্ট<ট্যাগ>(<tag>content</tag>)
ব্রাউজারঃ
ব্রাউজারের মাধ্যমে এইচটিএমএলকে পড়া ও অনুবাদ করা হয়। ব্রাউজার ওয়েবের কনটেন্ট প্রদর্শন করে।
যেমনঃ গুগলক্রোম,অপেরা,সাফারি,মজিলা ফায়ার ফক্স ইত্যাদি হল ব্রাউজার।
ইউআরএলঃ
ইউআরএল এর পূর্ণ রূপ হল উনিফরম রিসোর্স লোকেটর (URL=Uniform Resource Locator) । এটি হল ওয়েবপেজের ঠিকানা। যেমনঃhttp://www.google.com.bd একটি ইউআরএল
সার্চ ইঞ্জিনঃ
সার্চ ইঞ্জিন হল যার মাধ্যমে আমরা ওয়েবে কোন কিছু সার্চ করতে পারি।
যেমনঃ গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি হল জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন।
আসুন ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হই আসুন ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হই Reviewed by Bd market on শনিবার, জুন ২২, ২০১৩ Rating: 5

পিসি (পার্সোনাল কম্পিউটার) কিনবেন?? কি কিনবেন?? কেন কিনবেন?? কিছু টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ এবং সতর্কতা!!! ছোট বাচ্চাদের উপযোগী করে পিসি কেনার পরিপূর্ণ গাইডলাইন

সোমবার, জুন ১৭, ২০১৩

আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুব শীঘ্রই পিসি কিনবেন অথবা নিকট ভবিষ্যতে পিসি কিনতে পারেন এই সম্ভাবনা রয়েছে। পিসি কেনার ব্যাপারে আপনার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই বা এ ব্যাপারে আপনাকে গাইডলাইন দিতে পারে আশেপাশে এমন কেউ নেই। দুশ্চিন্তার তেমন কিছুই নেই!! পিসি কেনাটা আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছে মারাত্মক ভীতিকর মনে হলেও আসলে এটা তেমন জটিল কোন কাজ না। মনে হালকা একটু সাহস আর আত্মবিশ্বাস থাকলেই যে কেউ নিজের পিসির কনফিগারেশন নিজেই ঠিক করে একা একাই পিসি কেনার জন্য বের হতে পারে। তারপরও যাদের মনে এখনো কিছুটা ভীতি কাজ করছে, হয়তোবা আমার এই লেখাটা তাদের মনের ভীতি কাটিয়ে দিয়ে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে পারে।
আমার এই লেখায় আমি চেষ্টা করব খুবই সহজবোধ্য ভাষায় আপনাকে পিসি কেনার আগের পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন দিতে। এখানে যেসব কথা থাকবে তার বেশীরভাই আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া আর কিছু সহজ টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো নেট থেকে নেওয়া। সেই সাথে আমি চেষ্টা করেছি এই লেখায় এমন কোন জটিল শব্দের ব্যবহার না করতে, যাতে নতুনদের বুঝতে সমস্যা হয়!! আর এই কারণে অনেক জটিল টেকনিক্যাল টার্মকে আমি এড়িয়ে গিয়েছি ইচ্ছে করেই!! যারা এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ, তারাও চাইলে আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন এবং আমার লেখার ভুলত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিতে পারেন। আশা করছি আপনাদের তথ্যগুলো আমার পোষ্টে সংযুক্ত করে পোষ্টকে আরো সমৃদ্ধ করতে আপনাদের সাহায্য পাব!!
এই লেখায় পরামর্শদানের ব্যাপার পিসি ব্যবহার কারীদের আমি ৩ লেভেলে ভাগ করেছি। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন লেভেলের ব্যবহারকারী কেমন হতে পারে!!
  • লেভেল-১: এরা সাধারণ পিসি ইউজার। পিসিতে গান শোনা, মুভি দেখা, সখের বশে গেম খেলা এবং হালকা টাইপের কাজ করাই এদের প্রধান উদ্দেশ্য। মোটামুটি মানের পিসি হলেই এদের জন্য যথেষ্ট।
  • লেভেল-২: এই লেভেলের ব্যবহারকারীরা কিছুটা লেভেল-১ এর মত হলেও এরা কিছুটা সৌখিন টাইপের। এবং এদের কাজের পরিধি বেশী না হলেও এরা তাদের খুতখুতে স্বভাবের ও দূরদর্শী মনোভাবের কারনে একটু ভালো কিছু আশা করে।
  • লেভেল-৩: আমি এদেরকে বলি প্রো-লেভেল। অর্থ্যাৎ এরা তো সৌখিন বটেই সেই সাথে এদের কাজের পরিধি বিশাল। যেমন হার্ডকোর গেমিং, ভিডিও এডিটিং, মাল্টিটাস্কিং ইত্যাদি।
তাহলে আসুন দেখি আপনার ভয় কতটা কাটাতে সাহায্য করতে পারি......!! :)

প্রসেসর:

এটা কি জিনিস, মনে হয় বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। বছর খানেক আগেও PROCESSOR এর ব্রান্ড সিলেকশন নিয়ে তেমন কোন সমস্যা ছিলনা। মার্কেটে ইন্টেলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে গেছে। যারা প্রসেসর বলতে ইন্টেলকেই বোঝেন তাদের দ্বিধা দ্বন্দে ফেলার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে এএমডি এর প্রসেসর চলে এসেছে। যদিও মার্কেটে এখনো ইন্টেলের মত এএমডি অতটা শক্ত অবস্থান গাড়তে পারেনি। তারপরও এটা কোন অংশেই ইন্টেলের চাইতে পিছিয়ে নেই। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এটা ইন্টেলকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। অনেকের মাঝেই এখনো ভুল ধারনা আছে যে, এএমডির প্রসেসর মনে হয় খুব গরম হয়!!! আর এই ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করতে বলি, প্রসেসর তো গরম হবেই। আর সেটা সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য এএমডির প্রসেসরগুলো সাথে এখন যে হিটসিংক দেওয়া হচ্ছে সেগুলো খুবই কার্যকরী। অতএব এএমডির প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হওয়া নিয়ে আর কোন টেনশন রইলনা।

যাইহোক, কোন ব্রান্ডের প্রসেসর কিনবেন এটা সম্পূর্ন আপনার নিজের ব্যাপার। কারণ ইন্টেল ও এএমডি এর মধ্যের যুদ্ধে কেউ কারো কাছে হার মানেনি। যেমন: ইন্টেলের রয়েছে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি। যেটা সিঙ্গেল কোরের প্রসেসরকে মাল্টিটাস্কিং এর সময় বিভাজন করে ফেলে কাজের গতিকে ত্বরাণ্বিত করে। অপর দিকে এএমডির রয়েছে "হাইপার ট্রান্সপোর্ট" টেকনোলজি। প্রসেসর কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে স্পেসিফিকেশন দেখে নিয়ে সেটার FSB (Front Side Bus) কত, ক্যাশ মেমরী কত? কোন লেভেলের ক্যাশ মেমরী? ক্লক স্পিড কত?- জেনে নিবেন আশা করছি।
FSB (Front Side Bus) বেশী হলে আপনার পিসির পারফর্মেন্স বাড়বে। সেই সাথে ক্যাশ মেমরী বেশী নেবার চেষ্টা করুন। বর্তমানে প্রসেসর গুলোতে L-1 (Level-1), L-2 (Level-2), L-3 (Level-3) ক্যাশ মেমরী দেওয়া আছে। এখানে উল্লেখ্য L-3 (Level-3) ক্যাশ মেমরী নতুন টেকনোলজি। এর পরিধি বড় হলেও এর স্পিড কম। এই তুলানায় L-2 (Level-2) অনেক স্পিডি এবং দামী। তবে সবচেয়ে দামী ও স্পিডি হচ্ছে L-1 (Level-1) ক্যাশ মেমরী। তবে প্রসেসরে এদের পরিমাণ কম। তাই বেশী পরিমাণে L-1 (Level-1) ও L-2 (Level-2) ক্যাশ মেমরী নেবার চেষ্টা করুন। তবে এই কারনে প্রসেসরের দাম কিন্তু একটু বেশীই পড়তে পারে। আর বর্তমানের বেশী L-3 (Level-3) ক্যাশ মেমরী কিন্তু এক ধরনের আইওয়াশ!! নতুন টেকনোলজি বলে অনেকেই এটাকে অতিরিক্ত গুরত্ব দেন। এটা কিন্তু একধরনের বিজনেস স্ট্রাটেজি!! প্রসেসরের ক্লক স্পিড মানে হচ্ছে প্রসেসর কত স্পিডে কাজ করবে, সেটার পরিমাপ।
যেমন: একটি প্রসেসর যদি হয় Core 2 Duo 2.67 Ghz. তবে এখানে 2.67 Ghz হচ্ছে প্রসেসরের ক্লক স্পিড!! আপনি যদি লেভেল-১ ইউজার হন তো আপনার জন্য এই মুহূর্তে ডুয়েল কোর-ই যথেষ্ট। তবে বাজেটে কুলালে চাইলে কোর-টু ডুয়ো (যদি মার্কেটে পাওয়া যায়) ও নিতে পারেন। আর লেভেল-২ দের বলব এই মুহূর্তে বাজারে যেহেতু কোর-টু ডুয়ো বা কোর-টু কোয়াড তেমন এভেইলেবল না, তাই আপনি ইন্টেলের কোর-আই থ্রি বা বড়জোর কোর আই ফাইভ নিতে পারেন (যদি আপনার বাজেটে কুলায়)। তবে আপনি চাইলে এএমডিএর ফেনম সিনিজের ৪ কোরের প্রসেসরও নিতে পারেন। দামের তুলনায় পারফর্মেন্স অনেক বেটার পাবেন। এবার আসি লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের দিকে!!
আপনাদের যেহেতু কাজের পরিধি বিশাল এবং আপনারা অনেকেই প্রো লেভেলের, তাই আপনাদের এই মুহূর্তে ইন্টেলের সেকেন্ড জেনারেশনের কোর-আই সেভেন প্রসেসর নিতে বলব বা এএমডির ফেনম সিরিজের ৬ বা ৮ কোরের প্রসেসর। তবে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভিডিও এডিটিং এর কাজে এএমডির প্রসেসর গুলো ইন্টেলের চাইতে অনেক বেটার পারফর্ম করে। আর সে তুলনায় দামও কিছুটা কম। যেহেতু হার্ডকোর গেমিং, হাই লেভেলের ভিডিও এডিটিং, থ্রি-ডি এনিমেশন এর জন্য বেশ পাওয়াফুল প্রসেসর দরকার, তাই আপনার চাহিদা মেটাতে আপনি বাজারের এই মুহূর্তের শক্তিশালী কোন প্রসেসর কিনতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে এএমডি ৮ কোরের প্রসেসর বাজারে ছেড়েছে, যার কোডনেম "বুলডোজার"। সাধ থাকার পরে সাধ্যে কুলালে এটার দিকে যেতে পারেন।  :)

মাদারবোর্ড:

আপনি যতই আনাড়ি পিসি ইউজার হোন না কেন, এটা কি জিনিস, তা আশা করছি বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। মাদারবোর্ড সিলেকশনের ব্যাপারে আপনার প্রসেসর এর দিকে খেয়াল রাখুন। প্রসেসর যে ধরনের সকেট সাপোর্ট করে অর্থ্যাৎ প্রসেসরের কানেক্টর যেমন, সেটার সাথে ম্যাচ করে মাদারবোর্ড কিনুন। যদিও কথাটা কিছুটা বোকার মত শোনালো। কারন প্রসেসরের সকেটে সিলেকশনের ব্যাপার সত্যিই চিন্তা করার কিছুই নেই। কারন আপনার ভেন্ডর (দোকানদার) অবশ্যই আপনাকে প্রসেসরের সাথে ম্যাচিং করেই মাদারবোর্ড রেকমেন্ড করবে। তারপরও কিছু কথা থেকেই যায়। আপনি যে লেভেলেরই ইউজার হোন না কেন, আপনার প্রসেসরের সাথে ম্যাচিং করে ভালো ব্রান্ডের মাদারবোর্ড কিনুন।
লেভেল-১ ও লেভেল-২ ব্যবহারকারীরা মোটামুটি মানের মাদারবোর্ড কিনলেই যথেষ্ট। তবে লেভেল-৩ দের পরামর্শ দিব দাম বেশী হলেও কোয়ালিটি ফুল মাদারবোর্ড কেনার জন্য। বাজারে যে ব্রান্ড গুলো বেশ সুনামের সাথে চলে আসছে, সেরকমই কিছু কিনুন। সেই সাথে মাদারবোর্ডে বিভিন্ন রকম কানেক্টর গুলো সম্পর্কে একটু খোজ খবর নিন। যেমন: RAM এর স্লট কয়টা, কি টাইপের, কত বাস স্পিডের RAM সাপোর্ট করে, গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য স্লট কয়টা, মাদারবোর্ডে আলাদা ভাবে কি কি হার্ডওয়ার সাপোর্ট করবে, পরবর্তী সময়ে আপগ্রেড করতে গেলে কোন লেভেল পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে, হার্ডডিস্ক কতটুকু সাপোর্ট করবে, মাদারবোর্ডে পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য কয়টা এক্সপ্যানশন স্লট ফাঁকা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি!!!
সহজ কথায়, বাজার থেকে যথেষ্ট পরিমান তথ্য সংগ্রহ করে মাদারবোর্ড কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিন। মাদারবোর্ড কোন ব্রান্ড ভালো হবে, এ ব্যাপারে মন্তব্য করাটা যদিও বোকামী তারপরও বলতে পারি, আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ হিসেবে মাদারবোর্ডের ব্রান্ড হিসেবে আমি ASUS এবং Gigabyte কে সবার উপরে রাখি।  :)

RAM (Random Access Memory):

এইটা কি জিনিস? খায় না মাথায় দ্যায়- আশা করছি এই টাইপের কোন প্রশ্ন শুনতে হবেনা। কারন আমার জানা মতে ব্লগাররা এখন অনেক স্মার্ট আর সচেতন। বর্তমানে বাজারে ডিডিআর-৩ RAM দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও কোন কোন দোকানে ডিডিআর-২ RAM ও দেখা যাচ্ছে। যদিও আশা করা যায়, এই ডিডিআর-২ RAM কিছুদিনের মধ্যেই জাদুঘরে চলে যাবে। আপনি যদি এখন RAM কিনতে যান তো অবশ্যই মাদারবোর্ড কি টাইপের RAM সাপোর্ট করবে, সেটা বিবেচনা করেই আশা করছি কিনতে যাবেন। তবে এখনকার সব মাদারবোর্ডেই লেটেষ্ট ডিডিআর-৩ RAM এর সাপোর্ট রয়েছে। আবার কোন কোন মাদাবোর্ডে ডিডিআর-৩ RAM এর পাশাপাশি ডিডিআর-২ এর সাপোর্টও রয়েছে। সহজ কথায় আপনার মাদাবোর্ড যে ধরনের RAM সাপোর্ট করবে আপনি সেই ধরনেরই RAM কিনবেন। এবার আসি RAM কেনার ব্যাপারে হালকা গাইড লাইনে!!
আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বেশীর ভাগ ক্রেতাই দোকানে গিয়ে RAM এর ব্রান্ড বা কোয়ালিটির ব্যাপারে যথেষ্ট বেখেয়ালী তাকে। তারা শুধুমাত্র কতটুকু RAM মাদারবোর্ডে ব্যবহার করবে সেই পরিমাণটা বিক্রেতাকে বলে দিয়েই খালাস!! কোন ব্রান্ডের, কত বাস স্পিডের RAM দিতে হবে সেটা বিক্রেতা কর্তৃক নির্ধারিত করা হয়ে থাকে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি বিক্রেতা বেশী লাভের আশায় অনেক অখ্যাত ব্রান্ডের RAM ক্রেতাকে গছিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, RAM সিলেকশনও একটা গ্রেট ম্যাটার। যেটা অনেক ক্রেতাই গুরত্ব দেয়না। একটা RAM এর পারফর্মেন্স সেটার চিপের উপর নির্ভর করে। আর নামী দামী ব্রান্ডগুলো সাধারনতঃ ভালো মানের চিপ ব্যবহার করে থাকে। যে কারনে মেমরী একই রকম হলেও তাদের RAM এর দাম অন্য গুলোর চাইতে একটু বেশীই হয়ে থাকে। তাই, আজকে আমার এই লেখা যারা পড়ছেন, তাদের বলব পিসির প্রতিটা হার্ডওয়ার সিলেকশনের ব্যাপারে যথেষ্ট স্মার্টনেসের পরিচয় দিন। কারণ অনেক গুলো হার্ডওয়ারের সম্বন্বয়েই একটা পিসি তৈরী হয়।
যারা লেভেল-১ এবং লেভেল-২ ব্যবহারকারী, তাদের বলব আপনার মাদারবোর্ড যে টাইপের, যতটুকু ক্যাপাসিটির RAM সাপোর্ট করে, তার উপর নির্ভর করে বাজেট অনুযায়ী ভালো ব্রান্ডের RAM কিনুন। আর এক্ষেত্রে আমার মনে হয় এই মুহুর্তে ৪ গিগার নীচে RAM ব্যবহার করাটা চরম বোকামী। সাধ্যে কুলালে আরো বেশী ব্যবহার করতে পারেন। কারণ RAM ই একটা হার্ডওয়ার, যেটা কম দামের মধ্যে পিসির পারফর্মেন্স অনেকাংশে বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা লেভেল-৩ ব্যবহারকারী, তাদের বলব এই মুহূর্তে আপনার সাধ্যে যতটুকু কুলাবে, তার থেকে বেশী পরিমানে RAM কিনুন। এক্ষেত্রে আপনি এই মুহূর্তে ৮ গিগা ডিডিআর-৩ RAM ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে আপনার মাদারবোর্ড সর্বোচ্চ যে বাস স্পিডের RAM সাপোর্ট করে, সম্ভব হলে সেটাই কেনার চেষ্টা করুন। আপনি যদি মাদারবোর্ডে ৪ গিগা RAM ব্যবহার করতে চান তবে ২ গিগা করে ২ টা RAM ব্যবহার করে ৪ গিগা করার চাইতে একটাই ৪ গিগা ব্যবহার করুন।
এতে করে মাদাবোর্ডের RAM এর স্লট ফাঁকা থাকবে এবং পরবর্তীতে পিসি আপগ্রেড এর সময় ঐ ফাঁকা স্লট গুলোতে আরো RAM লাগিয়ে পিসির পারফর্মেন্স আরো বাড়িয়ে নিতে পারবেন। RAM এর ক্ষেত্রে ডুয়েল চ্যানেল, ট্রিপল চ্যানেল ও কোয়াড চ্যানেল- নামে কিছু টার্ম আছে। ব্যাপার গুলো না বুঝলে বিক্রেতার সাথে কথা বলে জেনে নিন। যদিও বাজারে এখন চায়না RAM দিয়ে ছড়াছড়ি। তারপরও আপনাকে পরামর্শ দিব চায়না RAM কে এভয়েড করে তাইওয়ান এর RAM ব্যবহার করতে। কারন বাজারে এই মুহূর্তে জাপানী RAM গুলো নাই বললেই চলে। RAM এর ব্রান্ড এর ক্ষেত্রে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে A-Data কে প্রেফার করি। তবে বর্তমানে কোন কোন মাদাবোর্ডের ম্যানুয়ালে বেটার সাপোর্টিং RAM এর ব্রান্ড এর ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে। RAM কেনার আগে আশা করছি ব্যাপারটা খেয়াল করবেন।

হার্ডডিস্ক ড্রাইভ:

পিসি রিলেটেড আমাদের যাবতীয় কাজকর্ম সব হার্ডডিস্কে সংরক্ষন করে রাখি। বর্তমানে কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে হার্ডডিস্কের পরিধিও বাড়ছে। যেমন: এখন একটা উইন্ডোজকে জায়গা দিতে গেলে মিনিমাম ২০ গিগা জায়গা দিতে হয়। সেই সাথে আরো অনেক প্রোগ্রাম, মুভি, অডিও-ভিডিও গান ও গেম বর্তমানে বিশাল জায়গা দখল করে নেয়। বর্তমানে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ পছন্দের জন্য অনেকেই স্পেসকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর তাই পিসি কিনতে গিয়ে অনেকেই শুধু হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর স্পেসটা সিলেক্ট করে দিয়েই তারা তাদের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করে। আসলে ব্যাপারটা যতটা সহজভাবে নেওয়া হয়, অতটা সহজ না। হার্ডডিস্কেরও কিছু ইন্টারনাল ব্যাপার স্যাপার আছে।
যেমন: বাফার, ঘূর্নন গতি (যেটাকে আরপিএম দিয়ে প্রকাশ করা হয়), ল্যাটেন্সি, ডাটা ট্রান্সফার রেট, ইন্টারফেস ইত্যাদি। যারা এডভান্স ইউজার, তারা আশা করছি এসব ব্যাপারে নেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে আমার মত যারা কিছুটা আনাড়ি টাইপের, তারা এসব ব্যাপারে বিশ্বস্ত বিক্রেতার স্মরণাপন্ন হতে পারেন। তবে আপনারা অন্যান্ন ব্যবহারকারীদের মতামতের উপর নির্ভর করেও কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বর্তমানে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর দাম তুলনামূলক অনেক বেশী। তারপরও আমি লেভেল-১ ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিব এই মূহূর্তে ৫০০ গিগার নীচে হার্ডডিস্ক না নিতে। আর সাধ্যে কুলালে ১ টেরা নিতে পারেন। লেভেল-২ ও লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের জন্য ১ টেরা স্পেসের হার্ডডিস্ক ড্রাইভ নেওয়াটা মাষ্ট। তবে লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের বলব স্পেসের পাশাপাশি হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর ইন্টারনাল স্পেসিফিকেশন দেখে হার্ডডিস্ক কেনার চেষ্টা করুন। যেমন বর্তমানে বাজারে সাটা-২ ইন্টারফেসের ৭২০০ আরপিএম এর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ বেশ এভেইলেবল। তবে সাটা-৩ হার্ডডিস্কও বাজারে খুব শীঘ্রই চলে আসবে। লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা মাল্টিমিডিয়া ও এইচডি ভিডিও নিয়ে যারা প্রো লেভেলে কাজ করবেন তারা সম্ভব হলে ১০০০০ আরপিএম এর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কেনার চেষ্টা করুন। যদিও স্পেসের তুলনায় দাম অনেক অনেক বেশী। হার্ডডিস্ক এর ব্রান্ড ও মডেল হিসেবে এই মুহূর্তে Western Digital Caviar Black টা আমার মোষ্ট ফেবারিট। যদিও দামটা তুলনামূলক একটু বেশীই বলা চলে।
আর যারা অতি উৎসাহী, তারা সলিড স্টেট ড্রাইভের কথা স্বপ্নের মধ্যে রাখতে পারেন। কারন এটার ২৫০ গিগার যে দাম, সেটা দিয়ে ১ টেরা সাইজের আরো দশটা হার্ডডিস্ক কিনতে পারবেন।

গ্রাফিক্স কার্ড (পিসিআই এক্সপ্রেস কার্ড):

অনেক ব্লগারই বেশ নড়েচড়ে বসেছেন মনে হয়!! গ্রাফিক্স কার্ড এর ব্যাপারে বর্তমানে বাজারে রাজত্ব করে আসছে মাত্র দুইটা কোম্পানী। এএমডি আর এনভিডিয়া। যদিও এরা মূলত গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য চিপসেট বানায়। আর সেই চিপসেট গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানী তাদের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো বানায়। বছরখানেক আগে হলে দুইটা আলাদা কোম্পানীর চিপসেট নিয়ে কমপেয়ার করে একটাকে বিজয়ী ঘোষনা করতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূন্ন ভিন্ন। এখন কেউ কারো চাইতে কম না। তবে আমার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা ও নেটের কিছু ফোরাম সাইট থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যতটুকু ধারনা করতে পেরেছি, তাতে মনে হয়েছে কম বাজেটের গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর মধ্যে এনভিডিয়ার চিপ দ্বারা প্রস্তুতকৃত কার্ডগুলোর পারফর্মেন্স তুলনামূলক ভালো। আর যদি বাজেট বেশী হয় তো সে ক্ষেত্রে রেডিওন চিপসেটের কার্ডগুলো তুলনামূলক ভালো।
গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে চাইলে পুরো একটা পোষ্ট লিখে ফেলা য়ায়, কিন্তু সেগুলোতে এতটাই টেকনিকাল তথ্য থাকত যে অনেকেরই মাথার উপর দিয়ে চলে যেত!! যাইহোক, গ্রাফিক্স কার্ড সিলেকশনে আমি কোন লেভেল অনুসারে পরামর্শ দিবনা। কিন্তু কোন কাজের জন্য গ্রাফিক্স কার্ডের কি কি বৈশিষ্ঠ্য থাকা উচিত সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
অনেকেই গ্রাফিক্স কার্ডে থাকা মেমরী নিয়ে তাদের কার্ডের পারফর্মেন্স পরিমাপ করে থাকে। যেটা একেবারেই ভুল। একটা কার্ড কতটা ভালো পারফর্ম করবে সেটা যে কয়টা বিষয়ের উপর নির্ভর করে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন হচ্ছে- চিপসেট!! কার্ডের প্রাণ হচ্ছে এইটা!! এটা কতটা শক্তিশালী, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই: রেডিওন ৪৬৭০ চিপসেটের ১ গিগা একটা কার্ডের চাইতে অবশ্যই একটা রেডিওন ৪৮৫০ চিপসেটের ৫১২ মেগাবাইট কার্ড অনেক ভালো পারফর্ম করবে।
তবে আপনি যদি বড় মনিটরে বেশী রেজুলেশনে গেম খেলেন তো তখন কার্ডের মেমরী খুবই গুরত্বপূর্ন। সেই সাথে কার্ডে থাকা বিভিন্ন পোর্ট সম্পর্কেও খেয়াল রাখতে হবে, যেমন- ডিভিআই বা এইচডিএমআই পোর্ট, ডিসপ্লে পোর্ট, ভিজিএ, টিভি আউটপুট ইত্যাদি। আরো কিছু প্রো লেভেলের ব্যাপার গুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার ছিল কিন্তু ব্যাপারগুলো অনেকেরই কাছে জটিল মনে হতে পারে, তাই আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি। গ্রাফিক্স কার্ডের ব্রান্ড হিসেবে আমার পছন্দের একেবারেই প্রথম অবস্থানে রয়েছে- ASUS, Gigabyte, Sapphire.

সাউন্ড কার্ড:

যারা মুভি বেশী দেখেন, গেম খেলেন, সর্বোপরি ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি আশা করেন, তাদের বলব মাদারবোর্ডের বিল্টইন সাউন্ড কার্ডের মায়া ত্যাগ করে মোটামুটি দামের মধ্যে প্রায় ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্যে সাউন্ড কার্ড কিনে নিতে পারেন। তবে যারা আরো একটু আশা করেন তাদের বলব ৭০০০-৮০০০ টাকার মধ্যে ক্রিয়েটিভের এক্স-ফাই সিরিজের একটা সাউন্ড কার্ড কিনে নিতে পারেন।

আমার দৃষ্টিতে এটা এমন একটা ইনভেষ্টমেন্ট, যেটার আউটপুট আপনার কাছে কখনোই পুরাতন মনে হবেনা। অর্থ্যাৎ আপনাকে যেমন বিভিন্ন গেমের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড এর চিন্তা করতে হয় কিন্তু এই সাউন্ড কার্ডের ক্ষেত্রে তা হবেনা আশা করছি।

অপটিকাল ড্রাইভ:

বুঝলেন না এটা জিনিস?? আপনারা কেসিং এ সাথে যে ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করেন, সেটাকে সার্বিক ভাবে অপটিকাল ড্রাইভ বলে। আপনি যে লেভেলেরই হোন না কেন, আপনার জন্য এই মুহূর্তে একটা ডিভিডি রাইটার কেনা মাষ্ট!!

কারন এগুলোর দামও তেমন বেশী না। তবে যারা লেভেল-৩ এ আছেন, তাদের মধ্যে যারা সৌখিন এবং খরচ করার মত যথেষ্ট সামর্থ্য আছে, তারা চাইলে ব্লু-রে ড্রাইভ কিনতে পারেন। দাম প্রায় ১২০০০ টাকা হতে পারে। অপটিকাল ড্রাইভ এর ব্রান্ড হিসেবে অনেকেই অনেক নামই সাজেষ্ট করতে পারেন। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ASUS, LITEON পছন্দ করি।

সিপিইউ কুলার:

নামটা কি একটু বিদঘুটে মনে হচ্ছে?? একটু বুঝিয়ে বললে আশা করি বুঝতে পারবেন। আপনার প্রসেসর এর মাথা ঠান্ডা রাখতে এটার উপর যে কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, সেটাকেই সিপিইউ কুলার বলা হয়। এখন হয়তোবা ভাবতে শুরু করে দিলেন যে, আরে!! এটা তো প্রসেসর কেনার সময় সাথে থাকেই। নতুন করে কেনার আর কি দরকার!! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। তবে প্রসেসরের সাথে যে কুলারটা পাওয়া যায়, সেটা কতটা কার্যকর এটা আশা করছি অনেকেই ধারনা করতে পারবেন। আপনার সখের পিসি কতটা ভালো পারফর্ম করবে সেটা নির্ভর করবে আপনার পিসির হার্ডওয়ার গুলো কতটা ঠান্ডা থাকবে!! আর একটা ব্যাপার জেনে রাখুন, আপনার পিসির হার্ডওয়্যারের অত্যাধিক তাপমাত্রা সেগুলোর স্থায়িত্ত্ব দিন দিন কমিয়ে দেয়।
লেভেল-১ ও ২ কে বলব আপনাদের জন্য আলাদা কোন সিপিইউ কুলার এর দরকার নেই। প্রসেসর এর সাথে যেটা পেয়েছেন, সেটাই আপনার জন্য যথেষ্ঠ। তবে সখ করে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবেনা। তবে যারা লেভেল-৩ এ আছেন, তাদের বলব- প্রসেসর এর সাথে দেওয়া সিপিইউ কুলার টা ব্যবহার না করে বাজেটে কুলালে আপনারা ন্যুনতম ৪৫০০-৫০০০ টাকার মধ্যে আলাদা একটা সিপিইউ কুলার কিনে নিন। বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে Thermaltake ব্রান্ডের কিছু সিপিইউ কুলার পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

পাওয়ার সাপ্লাই:

অনেকেই বলতে পারেন, এটা নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কি দরকার!! কেসিং কিনলে সাথে তো পাওয়া যাবেই!! যারা এরকম ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন তাদের বলছি, একটু আপডেট হোন!! আপনি কেসিং এর সাথে যে পাওয়ার সাপ্লাই টা পেয়েছেন সেটার উপর বিশ্বাস পুরোপুরি না রাখাই ভালো। কারন পাওয়ার সাপ্লাই এর গায়ে ৪৫০ ওয়াট লেখা থাকলেও আসলে এগুলো ২৫০ ওয়াটের বেশী হবার কথা নয়। আর কোয়ালিটি তেমন ভালো নয়।
আর তাই আপনারা যারা পিসি কিনবেন, তারা তাদের হার্ডওয়ারের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী অর্থ্যাৎ আপনার পিসির হার্ডওয়ার গুলোর যতটুকু পাওয়ার লাগবে তার সাথে আরো ৫০ ওয়াট এক্সট্রা হিসেব করে নিয়ে আলাদা ভালো একটা পাওয়ার সাপ্লাই কিনুন। তবে যারা পাওয়ারফুল প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করবেন, তারা তাদের হার্ডওয়ারের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী পাওয়ার সাপ্লাই কেনার চেষ্টা করুন। এখনকার মোটামুটি দামের মধ্যে যে গ্রাফিক্স কার্ডগুলো আছে সেগুলোর বেশীর ভাগের জন্যই আলাদা পাওয়ার কানেক্টরের দরকার হয়। আর তাই পাওয়ার সাপ্লাই কেনার সময় সেগুলোর কানেক্টরের ব্যাপারের একটু খেয়াল রাখুন।
যারা লেভেল-১ এ আছেন, ধরেই নিলাম তাদের কাজের পরিধি তেমন বিশাল নয় এবং বাজেটও তেমন নয়, তারা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভালো ব্রান্ডের কেসিং কিনুন। আশা করছি এ ব্যাপারে নীচের দিকে আলোচনা করব।
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে Thermaltake, Gigabyte এর মত কিছু ভালো ব্রান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে। আপনার হার্ডওয়ারের চাহিদা অনুযায়ী খোঁজ খবর নিয়ে বাজেটে যেটা কুলায় সেরকম একটা পাওয়ার সাপ্লাই কিনে নিতে পারেন। এ ব্যাপারে আরো একটু টেকনিক্যাল তথ্য দেবার ছিল। কিন্তু এমেচার অনেকের কাছেই ব্যাপারটা জটিল মনে হতে পারে, তাই আপাতত দিলাম না।

কেসিং:

আমার তো মনে হয় অনেক মানুষই শুধু এটার ডিজাইন দেখে পছন্দ করে থাকেন। কেউ কেউ তো এটার ব্যাপারেচরম উদাসীন। এ ব্যাপারে আমার পরামর্শ হচ্ছে, কারো কথায় কান না দিয়ে যতটা বড় পারা যায় ততটা বড় সাইজের কেসিং কিনুন। যাতে কেসিং এর ভেতরে আপনার সেটআপ করা হার্ডওয়ারগুলো একটু হলেও দম ফেলার সুযোগ পায়। অনেককেই দেখি ব্রিফকেস আকারের কেসিং কিনতে। যেটা একেবারেই ভুল। আপনার কেসিং এর মধ্যে যদি বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তো হার্ডওয়ারগুলো খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যেতে বাধ্য!! এমন একটা কেসিং পছন্দ করুন যেটাতে যথেষ্ট স্পেস ও কুলিং সিস্টেম রয়েছে, সেই সাথে আলাদা ভাবে কয়েকটা কুলিং ফ্যান লাগানোর মত সুব্যবস্থা রয়েছে- এরকম ধরনের কেসিং কেনার চেষ্টা করুন। যারা লেভেল-৩ এ আছেন তাদের বলব ভালো মানের বড়সড় একটা কেসিং কিনুন, যেটাতে লিকুইড কুলিং এর পাশাপাশি উপরে বর্ণিত অন্য সব ব্যবস্থা আছে। দাম হয়তোবা বেশী পড়ে যেতে পারে। পিসির হার্ডওয়ারের কুলিং এর কথা চিন্তা করলে এটাই বেষ্ট অপশন। বাংলাদেশের বাজারে Thermaltake ব্রান্ডের বেশ কিছু কেসিং পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোর মধ্যে কয়েকটা বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলী। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
যারা লেভেল-১ এ আছেন তাদের বলব ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্যে ভালো কোন ব্রান্ডের কেসিং কিনে ফেলুন। যেটাতে মোটামুটি ভালো মানের ২৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়া থাকে। এক্ষেত্রে আপনি ব্রান্ড হিসেবে Space বা Fox edge কে বেছে নিতে পারেন।
অনেক তো হল। এবার আসি পিসি কেনার আগের কিছু প্রস্তুতির ব্যাপারে!! কিছু টিপস্ আছে, যেগুলো পিসি কেনার আগে মাথায় রাখলে ভবিষ্যতে অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়....।

তাহলে আসুন জানি কি সেই টিপস্ গুলো...........

ধৈর্য ধরে তথ্য সংগ্রহ করুন: আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি পিসি কেনার সিদ্ধান্ত নেবার পরে কেমন জানি আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেনা। যেটা একেবারেই বোকামীর লক্ষন। আমি পরামর্শ দিব আপনি যে কনফিগারেশনেরই পিসি কিনতে চান না কেন, তা কেনার আগে বাজারে গিয়ে হার্ডওয়ারগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করুন। এমনও হতে পারে আপনার কনফিগারেশন যদি ফিক্সড করা না থাকে তো বাজারে যাওয়ার পরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনি নিজেই নিজের পিসি কনফিগারেশন ঠিক করে নিতে পারবেন।
নিকট ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পিসির কনফিগারেশন ঠিক করুন: অনেকেই পরামর্শ দিবে যে, আপনার বর্তমানের কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে পিসি কনফিগারেশন ঠিক করুন। কথাটার সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। আমার দৃষ্টিতে আপনি আজকে কি কাজে পিসি ব্যবহার করবেন, সেই চিন্তার পাশাপাশি নিকট ভবিষ্যতে পিসি দিয়ে কি কাজ করতে পারেন, সেই ব্যাপারেও আগাম চিন্তা করে পিসির কনফিগারেশন ঠিক করুন। তবে এক্ষেত্রে বাজেটের দিকেও খেয়াল রাখুন।
সঠিক বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান সিলেকশনে সতর্ক হোন: আপনি কোথায় থেকে অর্থ্যাৎ কোন বিক্রেতার কাছ থেকে পিসি কিনবেন, এটা সিলেকশনে একটু সর্ত হোন। কারন আমার দৃষ্টিতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। যে বিক্রেতা বা প্রতিষ্টান অনেকদিন ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে, যাদের আফটার সেলস সার্ভিস ভালো, ওয়ারেন্টি সাপোর্ট অনেক বেটার- তাদের কাছ থেকে পিসি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এসব তথ্য আপনি অন্য পিসি ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাক থেকেই পেতে পারেন। এসব কথা এজন্যই বললাম যে, ভুল বিক্রেতা সিলেকশন করে পরে কোন সমস্যায় পড়ে সাপোর্ট চাইতে গেলে যেন বিক্রেতার গোমড়া মুখ দেখতে না হয়।
ওয়ারেন্টির ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলুন: পিসি কেনার আগে তার হার্ডওয়ার গুলোর ওয়ারেন্টির ব্যাপারে খোলাখুলি ভাবে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করে এর সাথে সম্পর্কিত সব কিছু জেনে নিন। যেমন: কোন হার্ডওয়ারের ওয়ারেন্টি কত দিনের? ওয়ারেন্টি পাওয়ার টার্মস এন্ড কন্ডিশন কি? ওয়ারেন্টি সাপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগবে? ওয়ারেন্টিতে কোন হার্ডওয়ার পুরোপুরি চেন্জ করে দিবে নাকি রিপেয়ার করে দিবে? ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি কোন প্রোডাক্টের সাথে ওয়ারেন্টি কার্ড থাকে তো সেগুলোও সংগ্রহ করে সংরক্ষন করুন।
হার্ডওয়ারের ড্রাইভার সিডি ও ম্যানুয়াল গুলো বুঝে নিন: পিসি কেনার সময় হার্ডওয়ারে সাথে দেওয়া বিভিন্ন রকম সিডি ও ম্যানুয়াল গুলো বুঝে নিন। কারন এগুলো ভবিষ্যতে যে কোন সময় কাজে লাগতে পারে। সেই সাথে যে দোকান থেকে পিসি কিনছেন তাদের কাছ কাছ থেকে ক্রয়ের ক্যাশ মেমো এবং এর সাথে রিলেটেড যাবতীয় ডকুমেন্ট সঠিক ভাবে বুঝে নিন।
প্রোডাক্টের দামের চাইতে কোয়ালিটির দিকে বেশী গুরুত্ব দিন: আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি একই মডেলের বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রোডাক্টের মধ্যে দামের পার্থক্য দেখা যায়। দাম একটু বেশী হলেও কোয়ালিটি দেখে প্রোডাক্ট কিনুন। আর এক্ষেত্রে খুবই সহজ সমীকরন হচ্ছে যে, বাজারের অখ্যাত বা অল্প পরিচিত ব্রান্ডকে এভয়েড করার চেষ্টা করুন।
মোটামুটি অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিন: আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আপনি পিসি কিনতে যাবার সময় এক্সপার্ট কাউকে খুঁজে না পেলে মোটামুটি পিসির হার্ডওয়ার সম্পর্কে জানে বা ধারনা রাখে, এমন কাউকে সাথে নিন।
উপরের টিপস্ গুলো আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সংগ্রহ করেছি। তাই ভাবলাম যারা পিসি কিনতে যাবেন বা এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাদের সাথে শেয়ার করতে করি। পরিশেষে, সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আশা করছি।

পিসি (পার্সোনাল কম্পিউটার) কিনবেন?? কি কিনবেন?? কেন কিনবেন?? কিছু টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ এবং সতর্কতা!!! ছোট বাচ্চাদের উপযোগী করে পিসি কেনার পরিপূর্ণ গাইডলাইন পিসি (পার্সোনাল কম্পিউটার) কিনবেন?? কি কিনবেন?? কেন কিনবেন?? কিছু টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ এবং সতর্কতা!!! ছোট বাচ্চাদের উপযোগী করে পিসি কেনার পরিপূর্ণ গাইডলাইন Reviewed by Bd market on সোমবার, জুন ১৭, ২০১৩ Rating: 5

দি ডার্ক ওয়েব রেভেলড: ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার অংশ! কি করে যাবেন??? শ শ শ!!! মডু ঘুমায়! কথা না কইয়া চুপিসাড়ে আসেন এইখানে…

বুধবার, জুন ১২, ২০১৩
আসেন আজ টর্চ ফেলি ডার্ক ওয়েবের উপর। আর যারা জানেন না ডার্ক ওয়েব কি তাদের বলি ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের সেই অংশ (যেটা ভিজিবল ওয়েবের চেয়ে ৫০০ গুন বড়) যেখানে আপনি চিরাচরিত উপায়ে যেতে পারেন না।
৫০০ গুন বড় শুনে যারা ভ্রু কোচকাচ্ছেন তাদের বলি মুড়ির ঠোঙা রেখে একটু ঢুকে দেখেন ডার্ক ওয়েবে। তার পর বলবেন মামা কি দেখাইলা!!!
কি হয় ডার্ক ওয়েবে???
খিক খিক খিক!!!
এইটা কি জিগাইলেন মামা???
কি হয় না তাই কন। এইখানে সব ই আছে। সবই পাওয়া যায় ।
কথা বেশি কমু না চলেন অন্ধকার ওয়েবের উপর টর্চ ফেলি।
কি মামা? ফায়ারফক্স খুলবার লাগছেন। খিক খিক খিক!!!
চিপাগলিতে কি ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ দৌড়াইতে পারে?? চলেন উহারে দৌড়ানি দিয়া এট্টু ছিপছিপা দাবাং কপ বানাইয়া ফালাই।
টর ব্রাউজার ফায়ারফক্সের উপর কাজ করে। কিন্তু টরের ডার্ক ওয়েবে যাওয়ার ক্ষমতা আছে।
বিল গেটসের মামারা এইখানে ক্লিক করেন(windows)
পেঙ্গুইনের চাচারা এইখানে ক্লিক করেন(linux)
এইবার ইন্সটল দিয়া ফালান। দেখেন স্টার্ট টর ব্রাউজার বলে একটা আইকন পাবেন। ডবল ক্লিক দিয়া ফালান।
খুলছে টর ব্রাউজার???
আগেই কইছি কথা কম কাজ বেশি।
আ্যাড্রেসবার-এ নিচের আ্যাড্রেসটা দিয়া এন্টার মারেন তো মামা???
লগইন পেজ খুলছে???
কচি করে একটা একাউন্ট রেজিস্টার করে লগ ইন করিয়ে ফালান। তারপর কি করতে হইব আর আমি কমু না..!:P:P:P
আরো ডার্ক সাইটের অ্যার্রেস চাই??? কি ভাবতাছেন??? গুগলাইবেন???
আরে রেখেন মিয়া। গুগুলের বাপও ডার্কওয়েবের সাইটগুলার আ্যাড্রেস খুজে বের করতে পারবে না। তাহলে উপায়??? চিন্তায় মাথা চুলকাইয়েন না মামা। আঙুলের আঘাতে দুইটা চারটা উকুন মারা গেলে তখন আবার উকুনাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে পড়বেন। এই নেন কালো দুনিয়ার সার্চইঞ্জিন...
ডিপ সার্চ-->    http://xycpusearchon2mc.onion.to/
টর্চ ------->           http://xmh57jrzrnw6insl.onion.to/
***এইসব আকাম করার সময় নিজের ম্যাক অ্যাড্রেস চেঞ্জ করে নিতে ভুলবেন না। নেটকাট নামে একটা সফট্ওয়্যার আছে যা খুব ভালো ভাবে ম্যাক চেঞ্জ করে এবং এটি ফ্রি।(নেটকাটের আরও অনেক গুন আছে বিশেষত নিজের নেটওয়ার্কের ভিতরের কাউরে ডলা দিতে খুবই কামের। এই ব্যাপারে পরে কমুনে।) এখন ডাউনলোড লিঙ্ক নেন...
*** লিনাক্স ইউজাররা নেটকাটের বদলে টাস্ককাট ইউস করুন।
***কোথাও নিজের ইমেল অ্যাড্রেস দেবেন না। নিতান্তই দরকার হলে একটি নতুন ইমেইল তৈরী করে দিন।
(বি: দ্র: এটি একটি এডুকেশন পারপাস পোষ্ট, ডার্ক ওয়েবে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হলে লেখক দায়ী নয়)
*******************************************************************************************************
আপডেট: অনেকে কমেন্টে আরও লিঙ্ক চেয়েছেন। ইন্টারেস্টিং কিছু থাকলে শেয়ার করতে বলেছেন। আমি এই চাহিদার কথা পুর্বানুমান করেই কিন্তু একটি সার্চ ইঞ্জিনের অ্যাড্রেস দিয়েছিলাম। যাই হোক আরও কিছু ইন্টারেস্টিং লিঙ্ক সংযোজন করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে...
দ্য হিডেন উইকি
অ্যাপেলের আইফোন ৫ দাম ৩৩০ ডলার
অ্যাপেলের আইপ্যাড উইথ রেটিনা ডিসপ্লে  দাম ৩৫০ ডলার
বিশ্বাস হয় না??? নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন...
আমেরিকার সিটিজেনশিপ চান বিনা ঝামেলায়??? দাম ১০০০০ ডলার
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন...
ইউ.কে পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চান???
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন...
কাউরে ডলা দিতে হবে??? প্রফেশনাল হ্যাকার ভাড়া চান???
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন...
নেদারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইত্যাদি দেশের পাসপোর্ট, আইডেনটিটি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স চাই???
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন...
আরো লাগবে এইরকম আকর্ষনীয় সাইটের লিঙ্ক??? নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দিলেই পাবেন ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজানো প্রচুর লিঙ্ক...
পরিশেষে আবার বলি, সার্চ ইঞ্জিন ইউজ করুন। তাহলে দেখবেন নিজেই হঠাৎ একদিন এমন জিনিষ খুজে পাবেন যে নিজেকে ভাস্কো-দা-গামা বলে হবে!!!
একটু মজা করলাম আরকি।
আশাকরি মাইন্ড করবেন না।

দি ডার্ক ওয়েব রেভেলড: ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার অংশ! কি করে যাবেন??? শ শ শ!!! মডু ঘুমায়! কথা না কইয়া চুপিসাড়ে আসেন এইখানে… দি ডার্ক ওয়েব রেভেলড: ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার অংশ! কি করে যাবেন??? শ শ শ!!! মডু ঘুমায়! কথা না কইয়া চুপিসাড়ে আসেন এইখানে… Reviewed by Bd market on বুধবার, জুন ১২, ২০১৩ Rating: 5

ইউটিউবে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারছেন না ?তাহলে আপনার জন্যই এই টিউন।ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করুন সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম উপায়ে।না দেখলে মিস করবেন।

মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০১৩
আমাদের অনেক সময় ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করতে হয়।কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও ডাউনলোড করার কোন অপশন না থাকার কারনে আমাদের বিভিন্ন রকমের ডাউনলোডার,অনলাইন ডাউনলোডার এর সাহায্য নিয়ে ভিডিও ডাউনলোড করতে হয়।তার পরও বিভিন্ন রকমের অসুবিধা রয়েই যায়।
আজ আমি আপনাদের এমন একটি পদ্ধতির কথা বোলব যেটি খুবই সহজ ও দ্রুততম উপায়।
প্রথমে আপনি http://www.bestvideodownloader.com/
এখান থেকে একটি অ্যাড-অন্স নামিয়ে ইন্সটল করে নিন।
এই লিঙ্কে গিয়ে ফ্রী ডাউনলোড দিলেই ডাউনলোড হয়ে অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যাবে।
অ্যাড-অন্সটি খুবি ছোট।
অ্যাড-অন্সটি ইন্সটল হয়ে গেলেই আপনার কাজ শেষ।
এর পর http://www.youtube.com রএ গিয়ে আপনার ভিডিওটি ওপেন করুন।ভিডিওটি ওপেন করলে দেখবেন এরকম একটি পেজ আসবে।
এবং দেখবেন একটি ডাউনলোড বাটন ও আসবে।
এর পর ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে ফরম্যাট সিলেকট করতে বলবে  আপনি  ফরম্যাটে সিলেক্ট
করে দিন তার পর ডাউনলোড শুরু।
কষ্ট করে টিউনটি পরার জন্য ধন্যবাদ।
ইউটিউবে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারছেন না ?তাহলে আপনার জন্যই এই টিউন।ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করুন সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম উপায়ে।না দেখলে মিস করবেন। ইউটিউবে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারছেন না ?তাহলে আপনার জন্যই এই টিউন।ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করুন সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম উপায়ে।না দেখলে মিস করবেন। Reviewed by Bd market on মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০১৩ Rating: 5

অবশেষে কমছে মোবাইল ইন্টারনেটের চার্জ

মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০১৩
নয় বছর পর মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের চার্জ কমছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) শিগগীরই ইন্টারনেট প্যাকেজের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেবে। বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারনেটের চার্জ কমানোর বিষয় নিয়ে গত সপ্তাহে ছয় মোবাইল ফোন কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেছে টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। আর ওই বৈঠকে চার্জ কমানোর বিষয়ে মতৈক্য পৌঁছেছেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কয়েক দিনের মধ্যে নির্দেশনা জারি করা হবে। বিভিন্ন প্যাকেজের চার্জ কী হারে কমতে পারে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে বর্তমান হারের ন্যূনতম অর্ধেকে নেমে আসবে বলে জানা গেছে।
এমনটি হলে স্বস্তির সুবাস ছুঁয়ে যাবে দেশের কয়েক কোটি মোবাইল ফোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে। এদের বড় অংশ তরুণ-তরুণী। বিটিআরসির তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ১৩ লাখ ব্যবহারকারী মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। গত দুই মাসে এটি আরও বেড়েছে। চার্জ কমলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিটিআরসির তথ্য অনুসারে বর্তমানে দেশে ১০ কোটি মোবাইল সংযোগ রয়েছে।
উল্লেখ, ২০০৪ সাল থেকে বিদ্যমান হারে প্রতি কিলোবাইটের জন্য ২ পয়সা করে চার্জ করছে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো। পরিমাণভিত্তিক কিছু প্যাকেজ থাকলেও সেগুলো সাশ্রয়ী নয়। অথচ গত নয় বছরে কয়েক দফায় ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের মূল্য ছিল ৭২ হাজার টাকা, বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ হাজার টাকায়।
সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে গ্রাহকদের ‘হয়রানি বা প্রতারণা’ ঠেকাতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ১৪টি প্রস্তাবিত নির্দেশনা নিয়ে গ্রাহকের মতামত নেয় বিটিআরসি। পরে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফি কমানোর বিষয় ছাড়া বাকি সবগুলোর ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করে সংস্থাটি।
সাত মাস আগে ইন্টারনেটের চার্জ কমানোর বিষয়ে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে মতামত আহবান করেছিল বিটিআরসি। ওই মতামতে শতভাগ ব্যবহারকারী চার্জ কমানোর কথা বলেছেন।
মতামত আহবানের কয়েক মাস পরও বিটিআরসি ইন্টারনেটের চার্জ কমানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আন্দোলনে নামেন ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ছাড়াও ফেকবুকে চলতে থাকে ব্যাপক প্রচারণা । এরই পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় বিটিআরসি। বৈঠক করে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে।
সুত্র- ইন্টারনেট।
অবশেষে কমছে মোবাইল ইন্টারনেটের চার্জ অবশেষে কমছে মোবাইল ইন্টারনেটের চার্জ Reviewed by Bd market on মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০১৩ Rating: 5

নোকিয়া নিয়ে এল চোখ ধাধানো ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ফোন Nokia EOS

রবিবার, জুন ০৯, ২০১৩
বেশ কিছু দিন ধরে ভিবিন্ন ব্লগে দেখেছিলাম নোকিয়া নাকি তাদের এন্ডয়েড ফোন বাজারে আনবে ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা সহ। কিন্তু নকিয়া ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরার সাথে আনল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম । এই ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরার কথা বললেও এটা ৩৮ মেগা পিক্সেল রেজুলেশনে ছবি তুলতে সক্ষম । এই ক্যামেরার রেজুলেশন হল  7152 x 5368 pixels, সাথে রয়েছে  Carl Zeiss optics, autofocus, Xenon flash, 1/1.2'' sensor size, ND filter, optical zoom, geo-tagging, face detection আরো অনেক কিছু নিচে আমি এর বিস্তারিত সব বিবরন দেয়া হল .........


Main Feature -

  • Brand – Nokia .
  • Model – EOS .
  • OS – Microsoft Windows Phone .
  • CPU – 1.2 GHz Dual-Core
  • GPU -
  • RAM – 1 GB .
  • Display – 4.5″ AMOLED capacitive touchscreen.
  • Camera – 41 MP .
  • Statue – Coming soon ( Exp. release 2013 )
  • Price – No Data .

Detail - 

OS Microsoft windows Phone
Hardware
CPU - 1.2 GHz Dual Core
GPU -
Chipset-
Sensors - Accelometer, proximity, compass.
Display
Type – AMOLED capacitive touchscreen with 16 M colors.
Size – 4.5″ with 768×1280 pixel, (~322 ppi)
Protection – Yes corning Gorilla Glass.
Camera
Primary - 41 MP ( 38 MP support ) with 7152×5368 pixel, Carl Zeiss optics. ND filter, optical zoom, 1/1.2″ sensor size.
Secondary - Yes
Video Quality – 1080p@30fps HD Video rec.
Flash Light – Yes, LED Flash, Xenon flash, auto flash.
Memory
Card Slot - No
Interanl – 32 GB
RAM – 1 GB.
DATA
4G - Yes LTE
3G - HSPDA
2G – GSM 850/900/1800/1900
GPRS – Yes class 33
EDGA – Yes class 33
Wi-Fi – Yes 802.11 , DLAN with UPnP technology.
Bluetooth – Yes v4.0.
Battery
Standard Battery – Non removable Li-ion Battery
Stand by time - No Data
Talk time - No Data
Music Play - No Data
Video Play -
Net Suffering -
Body
Weight -
Size -
SoundDolby Disital Plus, Dolby headphone enhancement.
SIM CardSingle SIM ( Micro SIM )
Port
Charging – Yes
Headphone – Yes 3.5mm
HDMI -
USB - Yes v2.0, USB on the Go.
Other -
Other
Sensors - Accelometer, proximity, compass.
Messaging – SMS, MMS, E-mail, P-mail, IM.
Browser – HTML5
GPS – Yes  A-GPS support.
Radio – Yes FN.
Java – No.
Video Player – MP4, 3GP, H264,DivX, XviD, WMV.
Audio Player – MP3, WAV.eACC+, Acc,
Bult in apps –
PriceComing soon..
সোর্স  Nokia EOS 
এই ফোনটা নতুন তাই বিস্তারিত ফিচার দিতে পারলাম না ।
এর মোবাইলটা কার কার কেনার ইচ্ছা আছে ।
নোকিয়া নিয়ে এল চোখ ধাধানো ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ফোন Nokia EOS নোকিয়া নিয়ে এল চোখ ধাধানো ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ফোন Nokia EOS Reviewed by Bd market on রবিবার, জুন ০৯, ২০১৩ Rating: 5

Music

ads 728x90 B
Blogger দ্বারা পরিচালিত.