স্যামসাং এর গ্যালাক্সি এস ফোর বাজারে আসার আগেই সাড়া ফেলেছিল। বর্তমানে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে অত্যাধুনিক এই ফোনটি।
ফোনটিতে এমন কিছু ফিচার রয়েছে যা এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আইফোনেও নেই। নিচে আমরা সেরকম কিছু ফিচার দেখব:
এতে রয়েছে বিল্টইন ইনফ্রারেড ব্লাস্টার যা ইউনিভার্সাল টিভি রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও এর জন্য রয়েছে একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন যা আপনার স্যাটেলাইট ক্যাবল থেকে ডাটা নিয়ে অনুষ্ঠান দেখার জন্য সাজেষ্ট করতে সক্ষম।
এতে রয়েছে এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) চিপ। এর মাধ্যমে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে বিল প্রদান সহ ছবি, গান, ভিডিও শেয়ার করতে সক্ষম হবেন।
ফোনটিতে চাইলে অতিরিক্ত স্টোরেজ যোগ করা সম্ভব। মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ যোগ করতে পারবেন। এবং এর দাম খুবই অল্প।
এতে রয়েছে পরিবর্তনযোগ্য ব্যাটারী, যা অনেকের জন্যই একটি বড় সুবিধা। কোন স্মার্টফোনেই পারফেক্ট ব্যাটারী থাকে না। সুতরাং আপনার ব্যাটারী লাইফ কমতে দেখলে তা পরিবর্তন করে নেয়া উত্তম।
এটি ১০৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি ভিডিও প্রদর্শন করতে সক্ষম। যা কিনা আইফোন সহ অন্যান্য স্মার্টফোন এখনও প্রদর্শন করতে পারে না।
এতে রয়েছে ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যা আইফোনের তুলনায় ১ ইঞ্চি বেশী। এবং এই বিশাল স্ক্রীন সাইজের সদ্ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে আইফোন ব্যার্থ।
মজার বিষয় হল আপনি অন্য একজন এস ফোর ব্যবহারকারীর সাথে গেম খেলা, ছবি শেয়ার করা, একই গান স্ট্রীম করা ছাড়াও আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম হবেন। এর জন্য এতে একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়েছে যার নাম “গ্রুপ প্লে”। অ্যাপ্লিকেশনটি ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে অন্যান্য ফোনের সাথে সংযুক্ত হয়।
ফোনটির ক্যামেরাতেও রয়েছে নানা রকমের ট্রিকস। যেমন, আপনি স্বয়ংক্রিয় ভাবে একটি ছবির ঝাপসা দৃশ্য মুছে ফেলতে পারবেন অথবা আপনি আপনার পছন্দ মত জিফ অ্যানিমেশন তৈরি করতে পারবেন।
এতে “স্মার্ট স্টে” নামক একটি ফিচার সংযোজিত হয়েছে। আপনি যদি ফোনের দিকে তাকান তাহলে স্ক্রীনের আলো জ্বলবে এবং চোখ ফিরিয়ে নিলে আলো নিভে যাবে। যখন আপনি স্ক্রীনে কোন কিছু পড়বেন তখন এটা খুবই কার্যকর একট ফিচার।
এটি সাধারণ মাইক্রো ইউএসবি প্লাগের মাধ্যমে চার্জ হওয়া ও ডাটা সিঙ্ক হওয়ার কাজ সম্পন্ন করে। এই ধরনের প্লাগ বাজারে পাওয়া খুবই সহজ যেখানে আইফোনের জন্য বিশেষ পোর্টের প্রয়োজন হয়।
এক নজরে গ্যালাক্সি এসফোর:
ডিসপ্লে: সুপার অ্যামোলড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রীন, ১৬ মিলিয়ন কালারস, ১০৮০x১৯২০ পিক্সেল, ৫ ইঞ্চি, মাল্টিটাচ সাপোর্টেড, করনিং গরিলা গ্লাস৩ প্রোটেকশন।
মেমরী: কার্ড স্লট: মাইক্রোএসডি (৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত), ইন্টারনাল মেমরী তিন ধরনের (১৬/৩২/৬৪ গিগাবাইট), র্যাম: ২ গিগাবাইট।
থ্রিজি: আছে (HSDPA)
ফোরজি: আছে (LTE)
জিপিআরএস: আছে
এজ: আছে
ব্লুটুথ: আছে
এনএফসি: আছে
ইনফ্রারেড পোর্ট: আছে
ইউএসবি: আছে, মাইক্রোইউএসবি।
মেমরী: কার্ড স্লট: মাইক্রোএসডি (৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত), ইন্টারনাল মেমরী তিন ধরনের (১৬/৩২/৬৪ গিগাবাইট), র্যাম: ২ গিগাবাইট।
থ্রিজি: আছে (HSDPA)
ফোরজি: আছে (LTE)
জিপিআরএস: আছে
এজ: আছে
ব্লুটুথ: আছে
এনএফসি: আছে
ইনফ্রারেড পোর্ট: আছে
ইউএসবি: আছে, মাইক্রোইউএসবি।
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল, ৪১২৮x৩০৯৬ পিক্সেল, অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ। ডুয়েল শট, এইচডি ভিডিও, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন।
অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ (জেলি বিন)
চিপসেট: এক্সিনস ৫ অক্টা ৫৪১০
সিপিউ: কোয়াড কোর ১.৬ গিগাহার্টজ করটেক্স-A15 এবং কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্টজ করটেক্স-A7
জিপিউ: পাওয়ারভিআর এসজিএক্স 544MP3
চিপসেট: এক্সিনস ৫ অক্টা ৫৪১০
সিপিউ: কোয়াড কোর ১.৬ গিগাহার্টজ করটেক্স-A15 এবং কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্টজ করটেক্স-A7
জিপিউ: পাওয়ারভিআর এসজিএক্স 544MP3
সেন্সর:
- অ্যাক্সিলারোমিটার: আছে
- জাইরোস্কোপ: আছে
- প্রক্সিমিটি: আছে
- কমপাস: আছে
- ব্যারোমিটার: আছে
- টেম্পারেচার: আছে
- হিউমিডিটি: আছে
- জেসচার: আছে
জিপিএস: আছে
রেডিও: নেই
জাভা: আছে
ব্যাটারী: লিথিয়াম আয়ন ২৬০০ mAh
রেডিও: নেই
জাভা: আছে
ব্যাটারী: লিথিয়াম আয়ন ২৬০০ mAh
ভাল দিক:
- এ পর্যন্ত বের হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
- ফুল এইচডি রেজুলিউশন
- স্ক্রীন অত্যন্ত পরিষ্কার ও তীক্ষ্ম
- ক্যামেরার মান ভাল
- কিছু সহায়ক সফটওয়্যার ফিচার রয়েছে
খারাপ দিক
- প্লাস্টিকের তৈরি বডি দেখতে সস্তা মনে হয়
- ডিজাইন দেখতে অনেকটা এস থ্রী এর মত
- ইন্টারফেস কিছুটা জটিল
- ব্যটারী লাইফ ভাল নয়
- ১৬ গিগাবাইটের ফোনটিতে অ্যাপ্লিকেশনের জন্য জায়গা সীমিত।
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এর মূল্য 67,500 টাকা
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর
Reviewed by Bd market
on
বুধবার, জুলাই ২৪, ২০১৩
Rating:
তথ্যের জন্য ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন----- Multishopbd.com